পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়;
প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
বগুড়ায় টিএমএসএসএর দখলে থাকা করতোয়া নদীর প্রায় ১৭ একর জমি উদ্ধারে উচ্ছেদ অভিযান।
ঢাকা, ৯ এপ্রিল ২০২৫:
বগুরায় করতোয়া নদীর প্রায় ১৭ একর জমি অবৈধ দখলমুক্ত করতে অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন। বুধবার (৯ এপ্রিল) সকাল থেকে সন্ধ্যার আগে পর্যন্ত এই উচ্ছেদ অভিযান চলে।
বগুড়ার জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাহিয়ান মুন্সেফ ও আবু শাহমার নেতৃত্বে এবং যৌথ বাহিনীর সহায়তায় ঠেঙ্গামারা এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। উক্ত উচ্ছেদ অভিযানে সহযোগিতা করেন পরিবেশ অধিদপ্তর, বাংলাদেশপানি উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস এবং নেসকো, বগুড়া ইত্যাদি।
অভিযানে ঠেঙ্গামারা মহিলা সবুজ সংঘের (টিএমএসএস) এর দখলে থাকা ভূমির উপর গড়ে তোলা একটি গ্লাস ফ্যাক্টরী সহ ১১টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। অভিযানে টিএমএসএসের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান বিসিএল গ্লাস ফ্যাক্টরির কয়েকটি স্থাপনা ভেঙে ফেলা হয়। এতে প্রায় ৯৩ শতাংশ জমি দখলমুক্ত হয়।
জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজা জানান, বিসিএল গ্লাস ফ্যাক্টরির অবৈধ অংশ নদীর জমিতে গড়ে তোলা হয়েছিল।
তিনি বলেন, টিএমএসএস মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাস, অক্সিজেন প্লান্ট ও শহীদ মিনারও নদীর জমিতে তৈরি করা হয়েছে। সেগুলোও ধাপে ধাপে উচ্ছেদ করা হবে।
ডিসি জানান, ১৯৯৪ সাল থেকে টিএমএসএস করতোয়া নদীর বিভিন্ন অংশে বর্জ্য ফেলে জমি দখল করতে থাকে। এই নিয়ে কয়েকবার ভূমি জরিপ হয়। তবে আগে কখনও জমি উদ্ধার করা যায়নি। সর্বশেষ গত ডিসেম্বরে জরিপে দেখা যায়, টিএমএসএস ১৬ দশমিক ৯৭ একর নদীর জমি অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে।
নদী কমিশনের জরিপেও একই তথ্য উঠে আসে।
এরপর ফেব্রুয়ারিতে টিএমএসএস-কে অবৈধ দখল ছাড়ার নোটিশ দেওয়া হয়। কিন্তু দখল না ছেড়ে তারা আদালতে মামলা করে। এবং একতরফা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। পরবর্তীতে দো তরফা শুনানির পর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ও মামলা খারিজ হলে অভিযান চালানো হয়।
জেলা প্রশাসক বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী নদীর জমি কাউকে লিজ দেওয়ার অধিকার কারও নেই। নদীর জমি উদ্ধার কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে জানান তিনি।
স্বাক্ষরিত/-
দীপংকর বর,
জনসংযোগ কর্মকর্তা,
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়